“মুজিববর্ষের কূটনীতি, প্রগতি ও সম্প্রীতি”

“Mujib Year's Diplomacy, Friendship and Prosperity”  




New Passport

প্রিয় মহোদয়,


আসসালামু আলাইকুম। পোল্যান্ডের ওয়ারশ-তে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানবেন।


প্রথমবার বা নতুন ‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট’ বা এমআরপি করার জন্য যা যা লাগবেঃ

১। আপনার হাতে লিখা পাসপোর্টের ১ম ০৩ (তিন) পৃষ্ঠার স্ক্যানড কপি; নবজাত শিশুদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

২। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া আপনার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইনে যাচাইযোগ্য);

৩। পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত এমআরপি আবেদন ফর্ম (দেখুন সংযুক্ত);

৪। আপনার (নবজাত শিশু হলে বাবা-মায়ের) রেসিডেন্সিয়াল পারমিট বা ভিসার কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); ছাত্র হলে স্টূডেন্ট আইডির কপি;


পরবর্তীতেঃ

৫। এমআরপি ইস্যুর সরকারি ফি জমার রসিদ।


প্রথমে ১ থেকে ৪ সিরিয়ালের কাগজগুলো (কমপক্ষে সিরিয়াল ১ থেকে ৩নং এর ডকুমেন্টগুলো) ইমেইলে আমাদেরকে পাঠিয়ে দিন।

প্রাথমিক কাজগুলো শেষ হলে আপনাকে ব্যাংকে এমআরপি ইস্যুর সরকারি ফি-এর টাকা জমা দিতে বলা হবে (ফোনে বা ইমেইলে)।

ফি-এর টাকা জমা দেওয়া হলে টাকা জমার রিসিট বা ‘প্রুফ অব পেইমেন্ট’ আমাদের ইমেইলে পাঠিয়ে দেবেন।

আপনি যদি ওয়ারশ থেকে দূরে কোথাও থাকেন, তাহলে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন।


এরপর আমরা আপনাকে (বাচ্চাকে নিয়ে) দূতাবাসে আসতে বলবো। দূতাবাসের মেশিনে আপনার (বা বাচ্চার) আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে ও ছবি তোলা হবে। একই সাথে ফি-এর টাকা দূতাবাসের একাউন্টে জমা হলে নতুন পাসপোর্ট ইস্যুর কাজ শুরু হবে। অনলাইনে আপনার আবেদন আমরা ঢাকাস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেব। পাসপোর্ট ঢাকা থেকে প্রিন্ট হয়ে কুরিয়ার যোগে দূতাবাসে এসে পৌঁছাবে। এতে ২/৩ সপ্তাহ বা ক্ষেত্র বিশেষে আরো বেশী দেরি হতে পারে। আপনার কাজটি যথাদ্রুত সম্ভব করার জন্য এ দূতাবাস সার্বিক প্রচেষ্টা নেবে। কিন্তু আপনার পাসপোর্ট পাওয়ার ব্যাপারটি পুরোটাই ঢাকাস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপর নির্ভর করবে। 


আপনার নতুন পাসপোর্টটি দূতাবাসে এসে পৌঁছালে আমরা আপনাকে ফোনে (পোল্যান্ডের বাইরে হলে ইমেইলে) জানাবো। তখন আপনি নিজে এসে বা কোন অথোরাইজড ব্যক্তিকে পাঠিয়ে নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। অন্য কেউ আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে এলে তাঁকে আপনার স্বাক্ষরিত ‘লেটার অব অথোরাইজেশন’ নিয়ে আসতে হবে। এজন্য আপনার পুরাতন পাসপোর্টটি দূতাবাসে নিয়ে আসতে হবে। চাইলে কুরিয়ার যোগেও আপনার পুরাতন পাসপোর্ট দূতাবাসে পাঠাতে এবং নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে সকল ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে এবং ডাক মাশুল আপনাকে বহন করতে হবে। সমস্ত দায়-দায়িত্বও আপনার থাকবে। আপনি নিশ্চই বুঝবেন যে পাসপোর্টের মত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট সম্ভব হলে নিজে এসে সংগ্রহ করাই সর্বোত্তম।


আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বরটি দয়া করে পাঠাবেন। আমাদের ইমেইলঃ

mission.warsaw@mofa.gov.bd & hoc.warsaw@mofa.gov.bd.


আপনি নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে, আপনি যদি ওয়ারশ থেকে দূরে কোথাও থাকেন তাহলে ইমেইল, ব্যাংক ট্রান্সফার (সরকারি ফি পরিশোধের জন্য) ও ডাক/পোস্ট-এর মাধ্যমে এ দূতাবাস থেকে সীমিত আকারে ‘দূরবর্তী সেবা’ বা রিমোট সার্ভিস পেতে পারেন, যদিও অন্তত একবার আপনাকে দূতাবাসে আসতেই হবে। তবে দাপ্তরিক কাজ বা ‘পেপারওয়ার্ক’ শেষ করার জন্য আমাদের ২/১ দিন সময় প্রয়োজন হবে। ফরম পূরণ ও অন্যান্য বিষয়ে নির্দেশনা নিচের ওয়েবসাইটে পাবেনঃ

http://www.dip.gov.bd/site/forms/814bebd1-ddc5-4923-a5f9-e215761fbdc1/%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%AE


কনস্যুলার ফি চার্টটি সাথে সংযুক্ত করা হলো। দূতাবাসের কাছ থেকে বার্তা পাবার আগে ব্যাংকে ফি জমা দেবেন না। কোন বিষয় স্পষ্টীকরণের প্রয়োজনে দূতাবাসে ফোন করুন।


আপনাদের সেবায়,

বাংলাদেশ দূতাবাস

ওয়ারশ, পোল্যান্ড

ফোন নংঃ +৪৮ ২২ ৫৫ ০০ ৬১০